বাংলাদেশের একমাত্র সুন্দরবনেই শতভাগ অর্গানিক মধু পাওয়া যায়। সুন্দরবন মানব সৃষ্ট বন নয় এবং সুন্দরবনের কোন গাছে কোন কীটনাশক বা রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা হয় না। এই ম্যানগ্রোভ বনে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবেই গাছপালা গুলো বেড়ে ওঠে। এবং মৌমাছির দল এসকল গাছের ফুল থেকে পুস্পরস সংগ্রহ করে মৌচাকে মধু হিসেবে জমা করে। এজন্য সুন্দরবনের চাকের মধু শতভাগ অর্গানিক এবং গুনে-মানে সবচেয়ে সেরা।
সুন্দরবনের মধু উৎপাদনের সময় সাধারণত মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে জুন মাস পর্যন্ত। এই সময়ে সুন্দরবনে মৌমাছি প্রধান চারটি ফুল থেকে উল্লেখযোগ্য মধু সংগ্রহ করে। খলিশা, গড়ান, কেওড়া ও বাইন। সাধারণত এসব ফুলের মধু
মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩.০ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মন্টোজ। আরও থাকে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো অ্যাসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ এবং ১১ শতাংশ এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি।
[মৌমাছি] তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে সেফা। (সুরা নাহল, আয়াত-৬৯)
মধু হল মহান সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রাকৃতিক এ্যান্টিবায়োটিক।
শক্তি প্রদায়ী : মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। তাপ ও শক্তির ভালো উৎস। মধু দেহে তাপ ও শক্তি জুগিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
হজমে সহায়তা: এতে যে শর্করা থাকে, তা সহজেই হজম হয়। কারণ, এতে যে ডেক্সট্রিন থাকে, তা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ক্রিয়া করে। পেটরোগা মানুষের জন্য মধু বিশেষ উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১ চা–চামচ খাঁটি মধু ভোরবেলা পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
রক্তশূন্যতায়: মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে বলে এটি রক্তশূন্যতায় বেশ ফলদায়ক। কারণ, এতে থাকে খুব বেশি পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।
ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে: বলা হয়, ফুসফুসের যাবতীয় রোগে মধু উপকারী। যদি একজন অ্যাজমা (শ্বাসকষ্ট) রোগীর নাকের কাছে মধু ধরে শ্বাস টেনে নেওয়া হয়, তাহলে সে স্বাভাবিক এবং গভীরভাবে শ্বাস টেনে নিতে পারবে। অনেকে মনে করে, এক বছরের পুরোনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ ভালো।
অনিদ্রায়: মধু অনিদ্রার ভালো ওষুধ। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে দুই চা–চামচ মধু মিশিয়ে খেলে এটি গভীর ঘুম ও সম্মোহনের কাজ করে।
যৌন দুর্বলতায়: পুরুষদের মধ্যে যাঁদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে, তাঁরা যদি প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খান, তাহলে বেশ উপকার পাবেন।
প্রশান্তিদায়ক পানীয়: হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিশ্রিত মধু একটি প্রশান্তিদায়ক পানীয়।
মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায়: মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু ব্যবহৃত হয়। এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করে। মধু রক্তনালিকে সম্প্রসারিত করে দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। যদি মুখের ঘায়ের জন্য গর্ত হয়, এটি সেই গর্ত ভরাট করতে সাহায্য করে এবং সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।
পাকস্থলীর সুস্থতায়: মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।
তাপ উৎপাদনে: শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা–চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও তাজা থাকে।
পানিশূন্যতায়: ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানিশূন্যতা রোধ করা যায়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে: চোখের জন্য ভালো। গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
রূপচর্চায়: মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়।
ওজন কমাতে: মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে।
হজমে সহায়তা: মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয় এবং হজমে সহায়তা করে।
গলার স্বর: গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে।
তারুণ্য বজায় রাখতে: তারুণ্য বজায় রাখতে মধুর ভূমিকা অপরিহার্য। এটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের সামগ্রিক শক্তি ও তারুণ্য বাড়ায়।
হাড় ও দাঁত গঠনে: মধুর গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে।
রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: এতে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, যা রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আমাশয় ও পেটের পীড়া নিরাময়ে: পুরোনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে।
হাঁপানি রোধে: আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু এবং আদা মেশান। দিনে অন্তত তিনবার এই মিশ্রণ খান। এটা হাঁপানি রোধে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়: দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত।
রক্ত পরিষ্কারক: এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মেশান। পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এই মিশ্রণ খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া রক্তনালিগুলোও পরিষ্কার করে।
রক্ত উৎপাদনে সহায়তা: রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ আয়রন রয়েছে মধুতে। আয়রন রক্তের উপাদানকে (আরবিসি, ডব্লিউবিসি, প্লাটিলেট) অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী করে।
হৃদ্রোগে: এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদ্রোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃৎপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়: মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়ায় এবং শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতাও জোগান দেয়। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
তথ্যসূত্রঃ প্রধান পুষ্টিবিদ
দিনের যেকোনো সময়ে আপনি যখনই ক্লান্ত অনুভব করবেন মধু খেলে তৎক্ষণাৎ প্রশান্তি পাবেন এবং শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি যোগাবে। তবে মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকালে খালি পেটে মধু পান করা। এতে অধিক উপকারিতা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনি সকালে খালি পেটে কয়েক চামচ মধু হাতের তালুতে নিয়ে চেটে খেতে পারেন।
মধু জমে গেলেই সেই মধু খাঁটি না ভাবা ভুল । মধু বিভিন্ন কারনে জমে যেতে পারে। সরিষা, লিচু ফুলের মধু শীতকালে জমে যায় । মধু ফ্রিজে রাখলে জমে যেতে পারে আবার অনেক সময় জমে না। মধুর প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে আছে সুক্রোজ এবং গ্লুকোজ। গ্লুকোজ সুযোগ পেলে জমাট বাধবেই। একে বলে ক্রিসটালাইজেশন। বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ফুলের মধু জমাট বাধতে দেরী হতে পারে। যেমন – আসল সুন্দরবনের মধুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় এটা জমাট বাধে না। কিন্তু যে মধুতে পানির পরিমান কম থাকে, তা সময়ের সাথে সাথে ক্রিস্টালাইজড হতে শুরু করে। বিভিন্ন ফুলের মধুর বেশির কারণে বা ময়েশ্চারের কম বেশির কারণে জমাট বাধতে সময় নেয়। গ্রেড কম
অবশ্য ই আসতে পারে। সব মধুতে পিঁপড়া লাগে না। প্রসেসিং মধু তে পিঁপড়া আসতে পারে। পিঁপড়া আসলেই সন্দেহ করার কোন কারণ নাই। মিষ্টি বস্তুতে পিঁপড়া ধরবেনা এটাতো কল্পনা করা যায় না, পিঁপড়া ওই সকল জায়গায় বেশি আকৃষ্ট যেখানে সুক্রোজ ও গ্লুকোজ থাকে। মধুর প্রধান দুইটা উপাদান হল সুক্রোজ ও গ্লুকোজ।
মধুতে আগুন ধরলে আসল মধু, ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। মধুর সাথে মোম মিশিয়ে যদি তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় তবে মধুতে খুব সহজেই আগুন জ্বলবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মোমটা যদি মধুতে না মিশিয়ে চিনির শিরাতে মিশিয়ে দেই, তাহলেও একই ফল পাবেন। নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন।
মধুর ঘনত্ব-ভিত্তিক টেস্টের বিষয়টি ভিত্তিহীন। কারণ, মধু পাতলাও হতে পারে। যেমন – বরই এবং সুন্দরবনের ফুলের মধুতে ময়েশ্চারের পরিমাণ বেশি থাকে, এজন্য তা পাতলা হয় এবং প্রচুর গ্যাস হয়। সিজনাল কারণে ময়েসচারের তারতম্য থাকলে মধুর ঘনত্ব পরিবর্তন খুবই স্বাভাবিক। একারণে পানিতে ঢেলে পরীক্ষা, আঙ্গুলের নখে নিয়ে পরীক্ষা, টিস্যু বা নিউজপ্রিন্ট কাগজে নিয়ে পরীক্ষা করার ফলাফল মোটেও সঠিক ফলাফল দিতে সক্ষম নয়।
মধুর বিজনেস শুরু করার পূর্বে আমি যখন মধু কিনতাম নিজে খাওয়ার জন্য, তখন আমি নিজেও অনেক পরীক্ষা করতাম যেমনঃ আগুন পরীক্ষা, পানি পরীক্ষা, ফ্রিজিং পরীক্ষা, চুন পরীক্ষা ও পিঁপড়া পরীক্ষা সহ বিভিন্ন পরীক্ষা। এবং এই পরীক্ষা করার মাধ্যমে আমি খাঁটি মধু এবং ভেজাল মধুর মধ্যে পার্থক্য করার চেষ্টা করতাম।
কিন্তু কখনো মনে হতো মধু খাঁটি আবার কখনো মনে হতো মধু ভেজাল। আর এই মধু চেনার উপায় গুলো আমি কোথায় পেয়েছিলাম জানেন? এই উপায় গুলো আমি আমার আশে পাশের মানুষজনদের কাছ থেকে শুনে শুনে শিখেছিলাম আর কিছু শিখেছিলাম গুগল অথবা ইউটিউব থেকে। কিন্তু বড় আশ্চার্যের বিষয় হচ্ছে, আমি কখনো জানতেই চাইনি আমি যেই পরীক্ষা গুলোর মাধ্যমে খাঁটি মধু বা ভেজাল মধু যাচাই করছি, আদৌ সেই পরীক্ষা গুলোই সঠিক কি না? বা বিজ্ঞান সম্মত কিনা?
আমি অনেকদিন যাবত এই প্রচলিত পরীক্ষা গুলো নিয়ে গবেষণা করেছি। এবং গবেষণা করে অবশেষে বুঝতে পারলাম, আমাদের মাঝে প্রচলিত যত ঘরোয়া পরীক্ষা আছে খাঁটি মধু চেনার উপায় নিয়ে তা সবই কুসংস্কর বা ভুল পরীক্ষা। সুতরাং এই পিঁপড়া পরীক্ষা দিয়েও মধু খাঁটি বা ভেজাল কিছুই বোঝা যাবে না।
বিবিসি বাংলা থেকে নেওয়াঃ
নানা কারণেই উপকারী এই মধু নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ আর সন্দেহ আছে অনেক। মধু খাঁটি নাকি ভেজাল? আবার যে মধুর কথা বলা হয়েছে আসলেই সেটা দিয়েছে তো, এমন নানা প্রশ্ন দেখা যায়।
“মধু চেনার উপায় হল তিনটা।স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধ,” বলেন মধু গবেষক আরিফুল ইসলাম।
তার মতে, মধু চেনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাই আসল। কোনটার কী স্বাদ এটা মনে রাখা জরুরি।তিনি বলেন, “সুন্দরবনের মধুতে একটা বুনো গন্ধ থাকে।”
একটা মধুর সাথে আরেকটা মধুর পার্থক্য নির্ভর করে দুটি বিষয়ের উপর। উদ্ভিদের ভিন্নতা আর মৌমাছির জাতভেদে মধুর পার্থক্য হয়ে থাকে।
বিক্রেতা রুবেল আহম্মেদ জানান, “একেক ফুলের মধুর ঘ্রাণ একেকরকম। খেতে গেলে বরই, লিচু এগুলোর ঘ্রাণ চলে আসে।”
তবে সবাই একমত মধু চেনার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ল্যাব টেস্ট। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সুবিধা খুব একটা নেই।
এছাড়া নানান প্রচলিত যে সব উপায়ে অনেকে মধুর গুণাগুণ বিচার করেন, সেটাতে আপত্তি আছে বিশেষজ্ঞদের।
“এই যে আগুন দেয়া, পানিতে দেয়া এগুলোর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই,” আরিফুল ইসলাম বলেন।
“মধুতে প্রাকৃতিকভাবেই চিনি থাকে আর চিনি থাকলে তো পিঁপড়া খাবেই। আর আগুন ধরার বিষয়টি হল মৌমাছি প্রাকৃতিকভাবে চাকে মোম তৈরি করে, ফলে আগুন তো ধরবেই। ল্যাব টেস্ট ছাড়া তাই উপায় নেই”, জানাচ্ছেন তিনি।
আর রুবেল আহম্মেদ জানান, “মধু জমে গেলে খাঁটি না এই ধারণাটা ভ্রান্ত। আর মধু পানিতে মেশে কি মেশে না এটা মধুর ঘনত্বের উপর নির্ভর করে।”
তবে তিনি বলেন, সুন্দরবনের মধু সাধারণত জমবে না, ফ্রিজে থাকলেও না – বরং ঘনত্ব বাড়বে। তবে বেশি দিন ফ্রিজে রাখলে মধুর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই মধু যতোটা সম্ভব টাটকা খাওয়াই ভালো। আর ৩-৪ মাস পর সব মধুই লাল বর্ণ ধারণ করে।
এছাড়া মি. রুবেল আরেকটা তথ্য দেন, সেটা হল খাঁটি মধু পরিশোধন ছাড়া রেখে দিলে উপরে অনেকটা ফেনার মতো একটা স্তর পরে, যা ভেজাল মধুতে হয় না।
তথ্য সুত্রঃ বিবিসি বাংলা
আপনার যদি অন্য কোথাও মনে হয় যে তারা ভালো খাঁটি পণ্য বিক্রি করছে এবং আপনি সেখান থেকে নিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাহলে আপনি অবশ্যই তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন। আমাদের কাছ থেকে ছাড়া আপনি আর কোথাও খাঁটি পণ্য পাবেন না আমারা এই ধারনায় বিশ্বাসী না। তবে আমরা সুন্নাহ হাট কিছু নিদিষ্ট কারনে হয়তো অন্য অনেকের থেকে এগিয়ে থাকব যেমন – বাংলাদেশ সহ বিশ্বে বর্তমানে এমন একটা ব্যবসার কালচার চলছে যেখানে মানুষকে ওজনে কম দেওয়া, পণ্য সম্পর্কে মিথ্যা বলা, মানহীন পণ্য দিয়ে অধিক মুনাফা অর্জন বিষয়টা এমন পর্যায়ে যে এক প্রকার বলা চলে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা নেওয়া কিন্তু আমরা ইনশাআল্লাহ সেই জায়গার একদম বিপরীতে অবস্থান করি এবং করবো এবং করে যাবো। কারন, প্রিয় নবী বলেছেন “যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মত নয়”। তাই আমাদের উদ্দেশ্য শুধু মুনাফা নয় বরং ব্যাবসা একটি সুন্নতি পেশা যেটা করে মানুষের সমস্যা সমাধান ও উপকার করা এবং হালাল উপার্জন করা।
প্রোডাক্ট এ কোন ধরনের অসঙ্গতি কিংবা গুনগত মান কিংবা আমার যেমন বলেছি তেমন না পেলে ঝামেলা ছাড়া সাথে সাথে রিটার্ন করে দিতে পারবেন।
সারা বাংলাদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি পাবেন ।
যে কোন সময় প্রয়োজনে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।
সাধারণত ঢাকার ভিতর ১-২ দিন এবং ঢাকার বাহিরে ২-৩ দিন সময় লাগে।
হ্যাঁ, আমারা রিফান্ড কিংবা ১০০% ক্যাশ ব্যাক করে থাকি যদি কিনা আমাদের কোম্পানির রিফান্ড পলিসি অনুযায়ী আপনার পণ্যর কোন সমস্যা হয়।
জ্বী, আমরা পাইকারি বিক্রি করে থাকি এবং সারা বাংলাদেশে ডেলিভারি দিয়ে থাকি। আশা করি আপনি আমাদের থেকে পণ্য নিয়ে ঠকবেন না (ইনশাআল্লাহ)।
আমাদের অফিস খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কুয়েট এরিয়ায়।
আমাদের যেহেতু বিভিন্ন ধরনের পণ্য আছে, তাই আমরা সাধারণত যেই পণ্য যেই এলাকায় বহুল প্রসিদ্ধ এবং মান ও স্বাদ আমাদের সন্তুষ্ট করে সেই পণ্য সেখান থেকে সরাসরি সংগ্রহ করার চেস্টা করে থাকি।
না এখন পর্যন্ত আমাদের কোন আউটলেট কিংবা শোরুম নেই তবে আমাদের ইচ্ছা আছে খুব তাড়াতাড়ি একটা আউটলেট খোলার (ইনশাআল্লাহ), তবে আমাদের আফিস আছে কিন্তু সেখানে সাধারণত সর্বসাধারণের ভিজিট করার মতন ব্যবস্থা নেই।